নগরকেন্দ্রিক সাহিত্যাঙ্গনে ‘অপরিচিত’ এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ স্বাধীনতা পদকের তালিকায় নিজের নাম দেখে যেমন বিস্মিত হয়েছিলেন, তেমনি তার কাছে বিস্ময় হয়ে দেখা দিয়েছে নাম বাদ পড়াটাও।
কেন তাকে এই পদকের জন্য মনোনীত করা হল, আর কেনই বা বাদ দেওয়া হল- সেই প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না তৃণমূলে সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত সদ্য সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা।
এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদএস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদবৃহস্পতিবার স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীতদের তালিকায় সাহিত্যে রইজ উদ্দিনের নাম বাদ দিয়ে সংশোধিত তালিকায় প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রইজ উদ্দিন শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তখনও যেমন বিস্মিত হয়েছিলাম, এখনও বিস্মিত হলাম। কেন দিল, কেন (কেড়ে) নিল? এটা তো সরকারের সিদ্ধান্ত।”
গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রইজ উদ্দিন বলছেন, তার পদকপ্রাপ্তিতে সমালোচনার যে ঢেউ বয়ে গেছে, তাতে তার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে হাতে গোনা কিছু ‘কৌলিন্যের দাবিদার’ রয়েছেন। তাদের ভাবটা এমন যে, তাদের বাইরে আর কেউ এই ধরনের পদক পেতে পারেন না।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি নয় ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে এবারের স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করা হয়। সেখানে সাহিত্যে রইজ উদ্দিনের নাম দেখে অনেক কবি-সাহিত্যিক বিস্ময় প্রকাশ করেন।
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ফেইসবুকে লিখেছিলেন, “এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন রইজ উদ্দীন, ইনি কে? চিনি না তো। নিতাই দাসই বা কে! হায়! স্বাধীনতা পুরস্কার!”
মন্তব্য করুন